অনলাইন ডেস্ক: ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার সর্ব দক্ষিণে রাক্ষুসে মেঘনার বুকে গঠিত হয় ঢালচর ইউনিয়ন। প্রায় ২ শত বছর আগে মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠে চরটি। পর্যায়ক্রমে শুরু হয় বসতী।
এখানের অধিকাংশ পরিবারগুলোই হতদারিদ্র। বিগত ১৭ বছরের অব্যাহত ভাঙনে উত্তাল মেঘনার গহরে বিলীন হয়েছে এ জনপদের অনেকাংশই। তীব্র ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়েছে অনেকে। নিজের শেষ সম্বল হারিয়ে এ জনপদ ত্যাগ করেছেন অধিকাংশ পরিবার। আবার কেউ কেউ নিজের ভিটে মাটি নদীর মাঝে বিলীন হওয়ার পর আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে, ঝুঁপিরী ঘরে ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে। তবুও এ জনপদের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা স্বপ্ন দেখে এখানেই থাকার।
ঢালচরের বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া, সাহেব আলী মিয়াজী, মো. ফিরোজ, সাইফুল ইসলাম, তাসনুর বেগম বলেন, এখানে প্রায় ৪০-৪৫ বছর ধরে জীবন-যাপন করছি। তবে বিগত কয়েক বছরের ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এ চরের অনেকাংশ। ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে বসত ভিটা, ফসলী জমি, আশ্রয় কেন্দ্র, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদসহ সরকারী বহু স্থাপনা। যার ফলে অনেকেই এখান থেকে চলে গেছে অন্যত্র। যদি খুব শিগগিরই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে পুরো ঢালচরই নদী মাঝে বিলীন হয়ে যাবে। তাই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে অনেক তদবীর করেছি কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। কিছুদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে শিগগিরই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কবে নাগাদ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। আমি দাবী করছি দ্রত যেন ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও যাদের ঘর-বাড়ি ও জমি নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে তাদের জন্য যেনো ভূমি ও আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করা হয়।
এব্যাপারে ভোলা পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাইছার আলম জানান, ঢালচরের ভাঙন রোধে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রকল্পটি পাশ হলে খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। এরপর আর ঢালচরের ভাঙন থাকবে না।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply